Kolkata Kickoff
“চল বন্ধু আয় সব বিবাদ ভুলে,
যাই অতলান্তিক শহরে বাংলা নিশান তুলে।”—গৌতম দত্তর লেখা, পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের সুর,স্নেহাশীষ মজুমদারের মিউজিক ব্যবস্থাপনা ও পলাশ দাসের দৃশ্যকল্প ও সুরের এক অনন্য প্রত্যয় নিয়ে শুরু হল ৪৩তম এন.এ.বি.সি ‘হল অব ফেইম’-এর কলকাতায় স্থানীয় অধ্যায়ের কিক অফ বঙ্গবরণ উৎসব। আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন গৌতম গ্যারি দত্ত, পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়, অভীক দাশগুপ্ত এবং কল্লোল চট্টোপা‘বঙ্গহাসির বঙ্গখুশীর সম্মেলনে আয়’- এই ডাকে সাড়া দিয়েই সেদিন জড়ো হয়েছিলেন অনেক জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবি ও শিল্পী। পন্ডিত অমিয় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জ্বালালেন মঙ্গলদীপ এবং কল্যাণকথায় মালা গাঁথলেন স্বামী সুপর্ণানন্দজী মহারাজ। বক্তব্য রাখলেন আমেরিকান সেন্টার, কলকাতার ডিরেক্টর এড্রিয়ান প্র্যাট, স্মৃতি রোমন্থন করলেন তাঁর ছাত্রজীবনের ভারতবাস নিয়ে। ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন প্রবীন নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং অরুণ মুখোপাধ্যায় যাঁদের সম্মাননা জানালেন নাট্যব্যক্তিত্ব সৌমিত্র মিত্র, যিনি গৌরব বোধ করলেন নিজেকে তাঁদের ছাত্র পরিচয়ে। উপস্থিত ছিলেন শিল্পী যোগেন চৌধুরী, জানালেন তাঁর দশ একর জমির ওপর ‘মিউজিয়াম আর্ট’ নিয়ে নতুন প্রকল্পের কথা ও অনুরোধ করলেন সবাইকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারও আমন্ত্রিত এবারের বঙ্গ সম্মেলনে। উপস্থিত সজ্জনেরাউচ্ছ্বসিত ও অকুন্ঠ সাধুবাদ ও শ্রদ্ধা জানান বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর সততা ও সৎপথে থেকে জীবনে সঠিক পদক্ষেপ নেবার সাহসিকতার জন্য। রাজনীতিবিদ তথাগত রায় প্রস্তাব দিলেন বাঙালীর গর্বের তালিকায় অমর বোসের নাম নথিভুক্ত করতে। শ্রদ্ধা জানানো হল সম্মাননা দিয়া অনেককে, যাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি, ছিলেন তাঁদের প্রতিনিধিরা। পার্থসারথি মুখার্জী বাঙালীত্ব বজায় রাখার সঙ্কট নিয়ে রাখলেন তুখোড় বক্তব্য। দুই দেশের বাঙালীকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানালেন তিনি। স্মরণ করা হল সদ্য প্রয়াত লেখক সুজন দাশগুপ্ত ও কবি সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হল কৃত্তিকা চক্রবর্তী ও দীপ চ্যাটার্জীর গান ও শেষ হল ক্যাকটাসের গান দিয়ে। কবিতা শোনালেন অন্তরা দাশ ও উপস্থাপিকা দুজনেই। উদ্যোক্তাদের গান কবিতায় জমে উঠেছিল আসর। ৪৩ বছরের বঙ্গসম্মেলন তার ২৫ বৎসরের সঙ্গী পি.সি. চন্দ্র ও বেঙ্গল জুয়েলারী-কে স্মরণ করে স্বীকৃতি দিতে ভুলল না। বন্ধন ব্যাঙ্ক, বি.বি.সি.-এর প্রতিনিধি যেমন ছিলেন তেমনি এডাল্ট কমিউনিকেশনও বৃদ্ধাশ্রম নয়, বাতলে দিলেন ঘরে বসেই সেবা আয়োজনে আনন্দাশ্রমের সমগ্র অনুষ্ঠানটি অসাধারণ নিপুণতায় ও মুন্সিয়ানায় গাঁথলেন চন্দ্রিমা রায় ও শ্রবণা শীল। নৈশভোজের আপ্যায়নে শেষ হল অনুষ্ঠান। এবার অপেক্ষা শুধু সবাই মিলে একসঙ্গে আট্লান্টিক সিটিতে হাজির হয়ে ২০২৩-শের বঙ্গসম্মেলনকে সফল করে তোলা।
|